জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগরসহ বাহারি মিষ্টি স্বাদের আম গাছে গাছে ঝুলছে। জৈব বালাইনাশকের মাধ্যমে আমের আবাদ করেছেন এ এলাকার কৃষক। সম্প্রতি দুই টন আম রফতানি করেছেন এখানকার চাষীরা।আমবাগানি সাইদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। এবার আমরা আমের দামও ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে প্রতি কেজি আম জাতভেদে ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবার আমাদের উপজেলা থেকে বিদেশে আম পাঠাতে পারছি। এতে বেশ ভালো মুনাফা আসছে।
হাসান আলী নামের আরেক বাগানি বলেন, এবার আমের ফলন হওয়ায় বাগানিরা লাভের মুখ দেখছেন। তার ওপর বিদেশে আম পাঠাতে পেরে বাড়তি লাভ যুক্ত হচ্ছে। আগামীতে রফতানি আরো বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় আমচাষীরা।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী বলেন, ঝিনাইদহ জেলা থেকে এবারই প্রথম আম রফতানি শুরু হলো। এ বছর ঝিনাইদহে ১ হাজার ৬২৮ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৪৪৬টি বাগানের মাধ্যমে আমের আবাদ হচ্ছে। এসব বাগান থেকে প্রায় ৫ হাজার টন আম উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে যেন আরো আম রফতানি করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।